লক্ষ্মীপুরে ৬৫ জন কোরআনে হাফেজকে পাগড়ি প্রদান করে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে মহিউস সুন্নাহ জালালিয়া মাদরাসার দ্বিতীয় শাখা ভবনে আয়োজিত বার্ষিক ইসলামী বয়ান অনুষ্ঠানে হাফেজদের মাঝে পাগড়ি বিতরণ করা হয়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকার ঢালকানগর পীর শাহ আবদুল মতিন বিন হুসাইন। এ সময় মাদরাসার কিতাব শাখার পাঁচতলা ভবনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
হাফেজদের পাগড়ি পরিয়ে দেন মাদরাসার বার্ষিক ইসলামী বয়ানের বিশেষ অতিথি ঢাকার জামেয়া ফজলুল উলুম মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বিপী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যার প্রধান প্রশিক্ষক আল্লামা শিব্বির আহম্মদ ও লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।
হাফেজরা হলেন লক্ষ্মীপুরের নাজমুস সাকিব, নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন আদনান, ফেনীর মুশফিক আলম, চাঁদপুরের মুয়াজ আব্দুল্লাহ, কুমিল্লার রাসেল হোসেন আব্দুল্লাহ ও বরিশালের মো. নাছরুল্লাহসহ ৬৫ জন। তাঁরা লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তাঁরা মাদরাসায় এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, কোরআনে হাফেজরা আলোর দিশারি। আল্লাহ তাদের অন্তরে কোরআনের প্রতিটি অক্ষর গেঁথে দিয়েছেন। তাঁদের মধুর কণ্ঠে কোরআনের আয়াত মুসল্লিদের মুগ্ধ করবে। তাঁদের দেখে সবাই কোরআন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ